আজকাল ওয়েবডেস্ক: অরবিন্দ কেজরিওয়াল, রাজনীতিতে তাঁর উত্থান, সিদ্ধান্ত সবসময় চর্চায়। জোটে থেকে জোটের সঙ্গে না লড়ার ইতিহাস রয়েছে, এবারও ফের সেই ছবিরই পুনরাবৃত্তি হয়ে চলেছে দিল্লির বিধানসভা ভোটে। সূত্রের খবর তেমনটাই। 


এর আগেও হরিয়ানা, পাঞ্জাবে জোট নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে আপ-এর জটিলতা প্রকাশ্যে এসেছে। এবারও হচ্ছে না জোট! কেজরির ঘোষণায় তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রবিবার আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়ে দিলেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর দল একাই লড়বে, কোনও জোট করবে না। জোট করবে না কংগ্রেসের সঙ্গে অর্থাৎ জোট হচ্ছে না ইন্ডিয়ার সঙ্গে। ২০২৫ ভোটের আগে কেজরির এই সিদ্ধান্ত  এনডিএ বিরোধী জোটের জন্য বড় ধাক্কা বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। 

দিল্লি মদ দুর্নীতি মামলায় দীর্ঘকাল জেলবন্দি ছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। জেলে থাকলেও, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন তিনিই। সিদ্ধান্ত নিতেন কারাগারের ভিতর থেকেই। তার মাঝেই কেটে গিয়েছে লোকসভা ভোট। জেল থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে আসেন তিনি, জায়গা দেন অতিশিকে। দিল্লির বিধানসভা ভোট কেজরির জন্য প্রেস্টিজ ফাইট। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই ভোট আদতে কেজরির প্রত্যাবর্তনের ভোট। জেল ফেরৎ কেজরিওয়ালকে দিল্লির মানুষ ফের মসনদের জন্য চাইছেন কি না, তা দেখার ভোট। তবে শুধু কেজরির নয়, দিল্লিতে আপ-এর গ্রহণযোগ্যতার পরীক্ষাও এই ভোট। কারণ লোকসভা ভোটে দিল্লিতে ব্যাপক জয়ের মুখ দেখেছে গেরুয়া শিবির। সেবার কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হলেও, দু' দলের ফলাফল শোচনীয়। কেজরির রবিবাসরীয় ঘোষণার পর জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।


এর আগে শনিবার, গ্রেটার কৈলাসে পদযাত্রার সময় কেজরিওয়ালের মুখে আচমকা তরল ছিটিয়ে দেওয়া হয়। আপ নেতার উপর আচমকা আক্রমণে শনিবার উত্তাল হয় দিল্লির রাজধানী। ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কেজরিওয়াল। দিল্লির আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে বলেও অভিযোগ করেন। বলেন, 'মনে হচ্ছে গুন্ডারা দিল্লি দখল করেছে।'